দেশে এই কিছু দিন যা ঘটেছে তাতে নাজমুল হাসান পাপন একটু চিন্তিতই থাকবেন। কারন, তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এমপি ও মন্ত্রী। সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে তার মন্ত্রী পদ হারিয়েছেন।
নাজমুল হাসান পাপন | ছবিঃ ফেইসবুক থেকে নেওয়া |
বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা কেও জানেন না। তার মন্ত্রী পদের বাইরেও একটি পরিচয় ছিলো যা বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত নায়। তার বিসিবি সভাপতির পদ এখনো রয়েছে। নানান মহল থেকে গুজব ছড়ানো হলেও তনি নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রকাশ করেননি।
তবে নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেটের দৃশ্যপটে নেই গেল তিনদিন ধরেই। পরিচালকদের মধ্যেও অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরিই যুক্ত ছিলেন। পরিচালকদের মধ্যে নাইমুর রহমান দুর্জয় ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য। আ জ ম নাসির চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র। আরেক পরিচালক শফিউর রহমান নাদেল সদ্য বিলুপ্ত হওয়া সংসদেরই একজন সদস্য।
সরকার পরিবর্তনে পর এদের সকলেই অনুপস্থিত। সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান নিয়েও আছে প্রশ্ন। ক্রিকইনফো এর সূত্রানুযায়ী, বোর্ড সভাপতিও আওয়ামী লীগের অন্য অনেক নেতার মতোই দেশত্যাগ করেছেন। যদিও সেই একই প্রতিবেদককে অন্য অনেকগুলো সূত্র জানায়, নাজমুল হাসান পাপন এখনো দেশেই অবস্থান করছেন
তবে ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে ভালো খবর হচ্ছে, চাইলেই পরিবর্তন করা যাবে বিসিবি সভাপতি পদ। জাতীয় সংসদের পদ চলে গেলেও ক্রিকেট বোর্ডের অভিভাবক এখন পর্যন্ত পাপনই থাকছেন। বর্তমান মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনিই থাকছেন ক্রিকেটের শীর্ষকর্তা। ক্ষমতার পালাবদলে তাকে সরানোরও কোনো সুযোগ থাকছে না। বোর্ডের ওপর সরকার বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকতে হয়। গেল বছর লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করেছে।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের চলাকালে এসেছিল এমন নিষেধাজ্ঞা। দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান বিক্রমাসিংহে পুরো বোর্ডকে বরখাস্ত করে নিয়োগ দিয়েছিল সাত সদস্যের অন্তবর্তী এক কমিটিকে। যার কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজকের মর্যাদাও কেড়ে নেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের বোর্ডে এমন হস্তক্ষেপের কারণে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এ ব্যাপরে বোর্ড অবশ্যয় সবকিছু বুঝে কাজ করতে হবে। এমনটা হলে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক পিছিয়েছে পড়বে। নারী বিশ্বকাপ আয়জনেও বাঁধা আসতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ