নরওয়ে ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এক নতুন চুক্তিতে সই করেছে, যা একটি শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে কাজ করবে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে অবস্থিত নরওয়ে দূতাবাসে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম
শান্তি ও সহনশীলতা
চুক্তিটি একটি সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবে। নরওয়ে ও ইউএনডিপি একসঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সামাজিক শান্তি এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।
ভুল তথ্য ও বিদ্বেষ প্রতিরোধ
‘পার্টনারশিপ ফর এ মোর টলারেন্ট ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি)’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভুল তথ্য এবং বিদ্বেষের প্রচার প্রতিরোধ করা হবে।
ডিজিটাল সাক্ষরতা
নরওয়ের সঙ্গে চলমান অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ডিজিটাল সাক্ষরতা বিষয়ে কাজ করা হবে, যা এসডিজি লক্ষ্য ১৬ অর্জনে সহায়ক হবে।
চুক্তির মেয়াদ
এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকবে এবং এই সময়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার
তিনি বলেন, “ইতিবাচক মতবাদ তৈরির মাধ্যমে একটি সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পিটিআইবি প্রকল্পটি কাজ করে যাচ্ছে।”
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার
তিনি নরওয়েকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা তরুণ ও নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে কাজ করছি। ডিজিটাল সাক্ষরতা বিষয়ে কাজের মাধ্যমে আমরা এসডিজি লক্ষ্য ১৬ অর্জনে অবদান রাখতে পারব।”
নরওয়ে ও ইউএনডিপির এই নতুন চুক্তি শান্তি এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের সামাজিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার আশা জাগিয়েছে।
মুক্ত প্রকাশ
প্রতিবেদক: মোঃ আমান-উল্লাহ
0 মন্তব্যসমূহ