সাখাওয়াত হোসেনের পরিবর্তে দায়িত্ব পেলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

সরকারের সাম্প্রতিক প্রশাসনিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, যিনি পূর্বে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী | ছবিঃ সংগৃহীত 

এই সিদ্ধান্তটি সরকারের প্রশাসনিক পুনর্গঠনের একটি বড় অংশ, যা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় নতুন গতিশীলতা আনতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাখাওয়াত হোসেন, যিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তাকে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই স্থানান্তর সরকারের ভিতরে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। সাখাওয়াত হোসেনের বদলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের উপদেষ্টা পদে এ ধরনের পরিবর্তন সরকারের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজিবির প্রাক্তন মহাপরিচালক, তার অভিজ্ঞতার কারণে এই পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। তার নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে বেশ আলোচনা হচ্ছে। তার পূর্বের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের কারণে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ও দক্ষতা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়াও, নতুন এই পরিবর্তনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের সংখ্যা এখন ২১ এ পৌঁছেছে। সরকারের এই পুনর্গঠন এবং উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে নতুন দিকনির্দেশনা ও স্থিতিশীলতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, তা সময়ের সঙ্গে পরিষ্কার হবে। বিশেষ করে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সীমান্ত রক্ষার কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় কেমন হবে, তা নতুন উপদেষ্টার কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে। 

সরকারের পুনর্গঠনের ফলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদে এই পরিবর্তন প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন গতিশীলতা আনতে সক্ষম হবে। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, এই পরিবর্তন বাস্তবে কী প্রভাব ফেলবে, তা পরবর্তী সময়ে স্পষ্ট হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ