যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যারিস বনাম ট্রাম্পের উত্তপ্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা

২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, কমলা হ্যারিস কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন, বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে। হ্যারিসের পক্ষে তরুণ ভোটার, নারী এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সমর্থন বেশি, যেখানে ট্রাম্পের সমর্থন মূলত পুরুষ, ৪৫-৬৪ বছর বয়সী ভোটার এবং শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে শক্তিশালী। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস | ছবিঃ সংগৃহীত 

জো বাইডেনের পরিবর্তে কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর থেকেই তার প্রচারণা একটি নতুন গতি পেয়েছে। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, হ্যারিসের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বাড়ছে, বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে। হ্যারিসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আছেন টিম ওয়ালজ। হ্যারিসের প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো তরুণ এবং কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের কাছে পৌঁছানো, যারা তার প্রচারণার একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে।

অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় জোর দিয়েছেন দেশের অর্থনীতি এবং অভিবাসন নীতিতে। তার সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেডি ভ্যান্স। যদিও ট্রাম্পের সমর্থনমূলক ভিত্তি এখনো শক্তিশালী, বিশেষ করে পুরুষ ভোটার এবং উচ্চবয়সী শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে, তবুও সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে কিছু ক্ষেত্রে তার জনপ্রিয়তা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে, যেখানে উভয় প্রার্থীই প্রবলভাবে লড়াই করছেন। অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া, এবং উইসকনসিনের মতো রাজ্যগুলোতে হ্যারিস বর্তমানে এগিয়ে রয়েছেন। তবে, কিছু জরিপে দেখা যাচ্ছে যে এই রাজ্যগুলোতে এখনো লড়াই বেশ ঘনিষ্ঠ এবং কোনো প্রার্থীই স্পষ্টভাবে এগিয়ে নেই।

আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট ডিবেটগুলো এই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। হ্যারিস এবং ট্রাম্প উভয়েই তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং জনগণের মনোভাবকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।

এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হতে চলেছে, যেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে যে কেউই দেশকে নতুন পথে পরিচালনা করতে পারেন। যেহেতু নির্বাচনটি ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হয়ে আসছে, তাই পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ