বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করেছে। এই ক্ষমতা ৬০ দিনের জন্য প্রযোজ্য থাকবে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে, সেনাবাহিনী এই নতুন ক্ষমতা প্রয়োগে প্রস্তুত। তিনি বলেন, "আমাদের এই আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করব।"
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারার আওতায় এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা আগামী ৬০ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
এ ধরনের ক্ষমতা প্রদান নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, বিচার ব্যবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। তারা আশঙ্কা করছেন, অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগের কারণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার সেনাবাহিনীকে আরও কার্যকরভাবে জনসাধারণের সুরক্ষায় নিয়োজিত করতে চায়। যদিও সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এই নতুন ক্ষমতা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরও গতি যোগ করবে।
এটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ৬০ দিনের মেয়াদ শেষে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
মুক্ত প্রকাশ
প্রতিবেদন: সম্পাদকীয় বিভাগ
0 মন্তব্যসমূহ