দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানো এবং নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। শিক্ষকদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ নিশ্চিত না হলে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেন, যেন কোনো শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য না করা হয় এবং কোনো ধরনের হয়রানির মুখোমুখি না হতে হয়।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, "শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড এবং তাদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিক্ষা খাতের অগ্রগতির জন্য তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে এবং সব ধরনের হেনস্তা থেকে মুক্ত রাখতে হবে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে প্রচলিত আচরণবিধি অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেআইনি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত হলে তার প্রতিকারের জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশেও বলেন, "নিজেদের স্বার্থেই নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে হবে, যেন শিক্ষার মান উন্নত থাকে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে।"
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের এই আহ্বান শিক্ষাব্যবস্থার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টারই অংশ এবং তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা শিক্ষকদের সুরক্ষা ও সম্মান বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষকদের প্রতি অবিচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা খাতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার আশা করা হচ্ছে। শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মহলগুলো থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মুক্ত প্রকাশ
প্রতিবেদন: সম্পাদকীয় বিভাগ
0 মন্তব্যসমূহ