গাজায় প্রাণহানি ও সহিংসতা বাড়ছে: টিকাদান প্রচেষ্টা যুদ্ধের মাঝেই অব্যাহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলার সাম্প্রতিক সময়ে ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০৭ জন আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনা সংঘটিত হয়। ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে, দেইর এল-বালাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি শিশুদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে বুড়েইজ ও মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে টিকাদান কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি, কারণ সেখানে যুদ্ধবিরতির সময়সীমার বাইরে থেকে হামলা অব্যাহত রয়েছে।

গাজায় প্রাণহানি ও সহিংসতা ছবিঃ মুক্ত প্রকাশ 

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান আট দিনে গড়িয়েছে। গত ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়েছেন। অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে জেনিনে। এদিকে নামা কলেজে আশ্রয় নেওয়া নিরীহ মানুষের ওপর হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন, এবং আরও অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

গাজায় চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০,৮৬১ জন নিহত এবং ৯৪,৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে পরিচালিত হামলায় অন্তত ১,১৩৯ জন নিহত হন।

গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। ওষুধের অভাব, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, এবং আহত রোগীদের অসংখ্য উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এবং সহিংসতা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

এই সংকট মানবিক সহায়তা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে জোরালোভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়, বিশেষত শিশুরা যারা এ সংঘাতের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। শান্তির প্রত্যাশা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। 

মুক্ত প্রকাশ

প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক ডেস্ক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ