ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকায় গাজায় বেসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শিশু ও দুই নারীসহ মোট ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর ১০ দিনের সামরিক অভিযান শেষে ৩০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা | ছবিঃ মুক্ত প্রকাশ |
পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ১০ দিন পর সমাপ্ত হয়েছে। এই অভিযানে ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এবং শিবিরের অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, বিয়েতা শহরে বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আমেরিকান-তুর্কি কর্মী আয়সেনুর এজগি আইগি (২৬) ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন।
সহিংসতার মধ্যেও গাজায় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (UNRWA) জানিয়েছে, এ পর্যন্ত গাজায় ৩,৫৫,০০০ শিশুকে পোলিও থেকে সুরক্ষিত করা হয়েছে এবং বর্তমানে দক্ষিণ গাজায় এই টিকাদান কর্মসূচি চলছে। স্বাস্থ্যসেবার উপর এই আক্রমণ অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করলেও জরুরি টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও বেসামরিক প্রাণহানি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
গাজা এবং পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত থাকায় বেসামরিক জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মানবিক সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এবং এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকা পালন জরুরি। ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করে, সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
মুক্ত প্রকাশ
প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক ডেস্ক
0 মন্তব্যসমূহ